থানকুনি, বৈজ্ঞানিক নাম Centella asiatica, একটি জনপ্রিয় ঔষধি গাছ যা বহু প্রাচীনকাল থেকে ভারত এবং বাংলাদেশ জুড়ে নানাবিধ পেটের সমস্যা সারাতে ব্যবহৃত হয় ।

Images credit: istock 

থানকুনি ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ।

পুষ্টিগুণ

থানকুনি পাতা পেটের পুরানো আমাশা নিরাময়ে সহায়ক, এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণের জন্য।

আমাশা নিরাময়ে সহায়ক

থানকুনি পাতায় উপস্থিত মাদেকাসোসাইড প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা আমাশা নিরাময়ে কার্যকর।

অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ

থানকুনি পাতার অ্যাসিয়াটিকোসাইড নামক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে, যা আমাশার জীবাণু দূর করতে সহায়ক।

অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল 

থানকুনি পাতা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, এতে থাকা ফাইবার এবং পলিফেনল।

হজম শক্তি বৃদ্ধি

থানকুনি পাতা অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং অন্ত্রের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, এতে থাকা টার্পেনয়েডস।

অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নতি

থানকুনি পাতা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে, যাতে শরীর সহজে আমাশার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। এতে থাকা ভিটামিন সি।

ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী

থানকুনি পাতা লিভার এবং কিডনির কার্যকারিতা বাড়িয়ে শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে, এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

ডিটক্সিফিকেশন

তাজা থানকুনি পাতা সালাদ হিসেবে খাওয়া যেতে পারে বা পাতা দিয়ে চা তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে।প্রতিদিন ৫-১০ গ্রাম তাজা থানকুনি পাতা খাওয়া যেতে পারে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কিভাবে খাবেন