মাসিকের সময় অনেক মহিলাদেরই তলপেটে তীব্র যন্ত্রণা হয় পাশাপাশি কোমরে ব্যথা, মাথাব্যথা, এবং মুড সুইংতো থাকেই । এই সময়ে শরীরের হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে এই অসুবিধাগুলি দেখা দেয়। অনেক মহিলাই এই সময়ে একটু আরাম অনুভব করতে চান, কিন্তু প্রায়শই সঠিক পদ্ধতি বা উপায় খুঁজে পান না। যোগাসন একটি প্রাকৃতিক এবং কার্যকর উপায় হতে পারে এই যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য।
যোগাসন মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি শরীরের নমনীয়তা বাড়ায়, মানসিক চাপ কমায়, এবং শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে মাসিকের সময় যোগাসন অভ্যাস করলে শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, যা ব্যথা কমাতে সহায়ক হতে পারে। এছাড়া, যোগাসন মানসিক প্রশান্তি ও স্থিতি প্রদান করে, যা মুড সুইং কমাতে সহায়ক।
যোগাসনের গুরুত্ব
যোগাসন শুধু শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী। মাসিকের সময়ে শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে যা অনেক মহিলার জন্য কষ্টদায়ক হতে পারে। এই সময়ে যোগাসন করার ফলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, পেশির টান কমে এবং মানসিক চাপ হ্রাস পায়। নিয়মিত যোগাসন অভ্যাসে শরীরের নমনীয়তা বাড়ে এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যথা ও অস্বস্তি কমে যায়।
মাসিকের সময়ে যোগাসন করার প্রধান উপকারিতাগুলির মধ্যে অন্যতম হল ব্যথা হ্রাস। যোগাসনের মাধ্যমে শরীরের নীচের অংশের পেশিগুলি শিথিল হয় এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, যা ক্র্যাম্প এবং অন্যান্য ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও, যোগাসনের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানো যায়, যা মাসিকের সময়ে মহিলাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
🔎︎ যোগাসনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল এটি হরমোনের সামঞ্জস্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। মাসিকের সময় হরমোনের পরিবর্তন ঘটে, যা শরীরের উপর বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যোগাসনের মাধ্যমে হরমোনের স্তর নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে।
যোগাসনের মাধ্যমে শ্বাসের নিয়ন্ত্রণও সম্ভব। মাসিকের সময় শ্বাসের অনুশীলন করলে শরীরের অক্সিজেন সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের ক্লান্তি কমে যায়। এটি মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, কারণ শ্বাসের নিয়ন্ত্রণ মানসিক প্রশান্তি আনতে সাহায্য করে।
মাসিকের সময় যোগাসন করার মাধ্যমে মহিলারা নিজের যত্ন নিতে পারেন এবং শরীর ও মনের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারেন। নিয়মিত যোগাসন অভ্যাসে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখা সহজ হয়, যা মাসিকের সময়ের যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে সহায়ক।
ভদ্রাসন (Bhadrasana)
ভদ্রাসন, যা বাটারফ্লাই পোস নামেও পরিচিত, মাসিকের সময় পেটের পেশি শিথিল করতে এবং কোমরের ব্যথা কমাতে সহায়ক একটি যোগাসন। এই আসনটি করার জন্য প্রথমে একটি সমতল মেঝেতে বা যোগ মাদুরের উপর বসুন। পায়ের পাতা দুটি একসাথে যুক্ত করুন এবং হাঁটু দুটি পাশে ছড়িয়ে দিন যেন একটি প্রজাপতির মতো আকৃতি গঠন হয়। এখন পায়ের পাতার উপর দুই হাত রাখুন এবং মেরুদণ্ড সোজা রেখে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন।
শ্বাস-প্রশ্বাসের নিয়ম মেনে চলুন: শ্বাস নিন এবং শ্বাস ছাড়ুন ধীরে ধীরে, এই সময়ে ধীরে ধীরে হাঁটু দুটো উপরে নিচে করুন। এটি করার সময় পেটের পেশিগুলি শিথিল হবে এবং কোমরের ব্যথা কমবে। ভদ্রাসন করার সময় প্রতিদিন ৫-১০ মিনিট সময় নিন, যা মাসিকের সময় যন্ত্রণা হ্রাসে কার্যকর হবে।
ভদ্রাসনের বিশেষ উপকারিতা হল এটি পীড়াদায়ক পেটের পেশিগুলিকে শিথিল করে এবং কোমরের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, এই আসনটি হিপ এবং কোমরের পেশিগুলিকে শক্তিশালী করে, যা মাসিকের সময় স্বস্তি প্রদান করে। নিয়মিত ভদ্রাসন অনুশীলন করলে শরীরের নমনীয়তা বাড়ে এবং মানসিক চাপও কমে যায়।
অতএব, মাসিকের সময় যন্ত্রণার মুক্তির জন্য ভদ্রাসন একটি অতি প্রয়োজনীয় যোগাসন। সঠিক পদ্ধতিতে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের নিয়ম মেনে এই আসনটি করলে পেশিগুলি শিথিল হবে এবং কোমরের ব্যথা কমবে। নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে ভদ্রাসনের উপকারিতা পাওয়া সম্ভব।
বালাসন (Balasana)
বালাসন বা চাইল্ড পোজ হল একটি অত্যন্ত শিথিলকরণমূলক যোগাসন, যা বিশেষত মাসিকের সময় শরীরের অঙ্গগুলিকে শিথিল করে এবং মানসিক শান্তি প্রদান করে। এই আসনটি করার জন্য প্রথমে হাঁটু মুড়ে বসুন। তারপর ধীরে ধীরে শরীরকে সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে মাথা মাটির সাথে স্পর্শ করান। দু’হাত সামনের দিকে প্রসারিত করুন বা শরীরের পাশে রাখুন। এই অবস্থায় নাকের মাধ্যমে ধীরে ধীরে শ্বাস নিন এবং ছাড়ুন।
বালাসন করার সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের নিয়ম মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শ্বাস নেয়ার সময় মনে মনে গুনুন এবং শ্বাস ছাড়ার সময়ও একই নিয়ম মেনে চলুন। এই নিয়ম পালনের মাধ্যমে শরীরের অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি পায় এবং মন শান্ত হয়।
বালাসনের বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। প্রথমত, এই আসনটি মাসিকের সময় পেটের পেশীগুলিকে শিথিল করে এবং যন্ত্রণা উপশম করে। দ্বিতীয়ত, বালাসন মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে সহায়ক। তৃতীয়ত, এই আসনটি মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে এবং মেরুদণ্ডের ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, বালাসন রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং দেহের ক্লান্তি দূর করে।
সর্বোপরি, বালাসন একটি সহজ এবং কার্যকরী যোগাসন যা মাসিকের সময় শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে সহায়ক। নিয়মিত এই আসনটি অভ্যাস করলে শরীর ও মন দুইই সুস্থ থাকে।
সুপ্ত বদ্ধ কোণাসন
মাসিকের সময় পেটে ব্যথা এবং চাপ কমানোর জন্য সুপ্ত বদ্ধ কোণাসন অত্যন্ত কার্যকর। এই যোগাসনটি করার সময় শরীরের নিম্নাংশে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং মাংসপেশির শিথিলতা আসে, যা ব্যথা উপশমে সহায়ক। সুপ্ত বদ্ধ কোণাসন করার সঠিক পদ্ধতি জানলে এটি সহজেই অভ্যাস করা যায় এবং উপকার পাওয়া যায়।
প্রথমে, একটি যোগা মাদুর বা নরম পৃষ্ঠে শুয়ে পড়ুন। পা দুটি মিলে এনে হাঁটু ভাঁজ করে রাখুন, যেন পায়ের তলা একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে। এরপর ধীরে ধীরে হাঁটুগুলি দু’পাশে নামিয়ে দিন, যেন পায়ের তলা মাটিতে ছোঁয়ে থাকে। এই অবস্থায় আপনার শরীর একটি প্রজাপতির ডানার মতো দেখতে হবে।
এই আসন করার সময় শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণের দিকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। গভীর শ্বাস নিন এবং ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। শ্বাস-প্রশ্বাসের নিয়ম মেনে চললে শরীরের পেশিগুলি শিথিল হয়ে আসে এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। এই অবস্থায় ৫ থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত থাকার চেষ্টা করুন।
সুপ্ত বদ্ধ কোণাসনের বিশেষ কয়েকটি উপকারিতা রয়েছে। এই আসনটি বেদনানাশক হিসেবে কাজ করে এবং মানসিক চাপ কমায়। তাছাড়া, এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং পেটের মাংসপেশিগুলি শিথিল করে। নিয়মিত এই আসন অভ্যাস করলে মাসিকের সময় পেটে ব্যথা ও চাপ কমে যায় এবং শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়।
সুপ্ত বদ্ধ কোণাসন একটি সহজ কিন্তু কার্যকর যোগাসন, যা মাসিকের সময় শারীরিক ব্যথা ও চাপ উপশমে সহায়ক। শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ম মেনে চলা এবং সঠিকভাবে এই আসন করা, স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে।
উত্তানাসন
উত্তানাসন, যেটিকে ফরওয়ার্ড বেন্ড হিসেবেও জানা যায়, একটি বিশেষ যোগাসন যা মাসিকের সময় কোমর ও পেটের পেশি শিথিল করতে বিশেষভাবে কার্যকর। এই আসনটি করা খুব সহজ, এবং এর নিয়মিত অভ্যাস আপনার শরীরে অনেক উপকার বয়ে আনতে পারে।
প্রথমে, সোজা হয়ে দাঁড়ান এবং পা দুটি একসাথে রাখুন। ধীরে ধীরে শ্বাস নিন এবং হাত দুটি উপরের দিকে তুলুন। এবার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে কোমর থেকে সামনের দিকে বেঁকুন, হাত দুটো মাটির দিকে নিয়ে যান। যদি মাটিতে হাত পৌঁছানো কঠিন হয়, তবে হাঁটু একটু ভাঁজ করে নিতে পারেন। মাথাটি শিথিল রাখুন এবং ঘাড়কে মুক্ত রাখুন।
এই অবস্থানে থাকাকালীন শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণে রাখুন। পাঁচ থেকে দশটি গভীর শ্বাস নিন এবং প্রতিবার শ্বাস ছাড়ার সময় আরও একটু নিচুতে যাওয়ার চেষ্টা করুন। উত্তানাসন আপনার কোমর ও পেটের পেশি শিথিল করে এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, যা মাসিকের সময় ব্যথা ও অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে।
উত্তানাসনের আরও কিছু উপকারিতাও রয়েছে। এটি মস্তিষ্ককে শিথিল করে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, এই আসনটি পায়ের পেশি এবং কাঁধের পেশি শক্তিশালী করে, মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে এবং হজম শক্তি উন্নত করে।
উল্লেখ্য, এই আসনটি করার সময় যেকোনো রকমের ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভব করলে সাথে সাথে সাথে থেমে যান এবং একজন যোগ প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিন। নিয়মিত উত্তানাসন চর্চা করলে মাসিকের সময়ের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হবে এবং সার্বিক শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।
শবাসন (Savasana)
মাসিকের সময় শরীর ও মনের উপর প্রচুর চাপ পড়ে। এই চাপ কমাতে শবাসন অত্যন্ত কার্যকর। শবাসন বা কর্পস পোস, যোগাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা শরীরকে সম্পূর্ণ বিশ্রাম দেয় এবং মানসিক শান্তি আনে। এই আসনটি করার সঠিক পদ্ধতি এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হলো।
প্রথমে একটি মাদুর বা যোগা মাটের উপর শুয়ে পড়ুন। হাত-পা স্বাভাবিকভাবে ছড়িয়ে রাখুন, হাতের তালু উপরের দিকে থাকবে। চোখ বন্ধ করুন এবং পুরো শরীরকে শিথিল করুন। শ্বাস-প্রশ্বাস ধীরে ধীরে এবং নিয়মিতভাবে নিন। শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রতি মনোযোগ দিন এবং শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে শিথিল করার চেষ্টা করুন। এই অবস্থায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট থাকুন।
শবাসনের প্রধান উপকারিতা হলো এটি মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমায়। মাসিকের সময় হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে শরীরে যে চাপ পড়ে, তা দূর করতে শবাসন খুবই সহায়ক। এটি শরীরের রক্ত সঞ্চালন নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন পৌঁছাতে সাহায্য করে। এছাড়া, শবাসন মনকে শান্ত করে এবং গভীর বিশ্রামের সুযোগ দেয়।
শবাসন নিয়মিত অভ্যাস করলে শরীরের উপরের অংশে জমে থাকা টেনশন দূর হয় এবং মাইগ্রেন বা মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এটি পেটের পেশী শিথিল করে, যা মাসিকের সময় পেটের ব্যথা ও অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে।
শবাসন যোগাসনের মাধ্যমে আপনি সহজেই মাসিকের সময়ের যন্ত্রণাকে কমাতে পারেন এবং মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পারেন। নিয়মিত শবাসন অভ্যাস করলে মাসিকের সময়ের জন্য আপনার শরীর ও মন প্রস্তুত থাকবে।
মাসিকের সময় যোগাসন প্রাকৃতিক এবং কার্যকর উপায়ে ব্যথা এবং অস্বস্তি কমাতে সহায়ক হতে পারে। নিয়মিত যোগাসনের অভ্যাস শারীরিক এবং মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়, যা মাসিকের সময় অতিরিক্ত প্রয়োজনীয়। যোগাসনের মাধ্যমে শরীরে রক্তসঞ্চালন উন্নত হয়, পেশী শিথিল হয় এবং মানসিক চাপ কমে।
তবে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা উচিত। প্রথমত, যোগাসন শুরু করার আগে একজন যোগা প্রশিক্ষকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, বিশেষত যদি আপনি শুরু করছেন। দ্বিতীয়ত, শরীরের সংকেত শুনুন – যদি কোনো আসন করতে অসুবিধা হয়, তাৎক্ষণিকভাবে থামুন এবং বিশ্রাম নিন। তৃতীয়ত, প্রচুর পানি পান করুন এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন।
মাসিকের সময় যোগাসন করার সময় কিছু অতিরিক্ত টিপস উল্লেখ করা যেতে পারে। প্রথমত, হালকা এবং আরামদায়ক পোশাক পরুন যা শরীরের গতিবিধিতে বাধা সৃষ্টি করবে না। দ্বিতীয়ত, যোগাসনের সময় তীব্র ব্যথা অনুভূত হলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন এবং পুনরায় চেষ্টা করুন। তৃতীয়ত, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে মনকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন, যা মানসিক প্রশান্তি এনে দিতে পারে।
সবশেষে, যোগাসনের মাধ্যমে আপনি যে মানসিক ও শারীরিক স্বস্তি পাবেন, তা আপনার দৈনন্দিন জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। নিয়মিত যোগাসনের অভ্যাস শুধু মাসিকের সময় নয়, জীবনের প্রতিটি সময়ে আপনাকে সুস্থ ও সজীব রাখতে সহায়ক হবে। তাই, যোগাসনকে জীবনের অংশ হিসেবে গ্রহণ করুন এবং এর সুফল উপভোগ করুন।